* কৃষিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব এড়াতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক কৃষিযান্ত্রিকীকরণ, বীজ, সেচ ইত্যাদিসহ কৃষিখাতে জরুরি সহায়তা বাবদ প্রদেয় ২৫০ কোটি টাকার মাধ্যমে হাওরাঞ্চলে ৭০% ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার বিতরণ;
* সেচ এবং বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে আউশের উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ;
* পারিবারিক কৃষির আওতায় সবজি পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সার, বীজ এবং প্রযুক্তি প্রণোদনার মাধ্যমে বসতবাড়ির আঙিনাসহ সকল পতিত জমিতে শাকসবজি এবং অন্যান্য ফসল চাষের উদ্যোগ;
* হাওরের বোরো ধান কাটার শ্রমিক সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাওর অঞ্চলে ধান কাটার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নতুন ১৮০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১৩৭টি রিপার সরবরাহ প্রদান (পূর্বের বরাদ্দসহ বর্তমানে হাওরাঞ্চলে ৩৫৯টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ৪৪২টি রিপার সচল রয়েছে এবং প্রায় তিন লক্ষাধিক শ্রমিক নিয়োজিত আছে);
* দ্রæত হাওরের বোরো ধান কাটার জন্য উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষি শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাওর এলাকায় আগমন ও চলাচল নির্বিঘœ করা। এ কাজে ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জেলা/উপজেলা কৃষি অফিসের ব্যবস্থাপনায় হাওরে গমনেচ্ছু শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্ক প্রভৃতি উপকরণ প্রদান, নির্বিঘœ গমনাগমন, ধান কাটা স্থলে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে;
* হাওরে এবং যেসব অঞ্চলে ধান কর্তনের সময় হয়েছে সেই সকল অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিগণের সহায়তায় ‘নিজের ধান নিজেরা কাটি’ ¯েøাগান দিয়ে ধান কাটার উদ্যোগ গ্রহণ। এই উদ্যোগের ফলে ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ কৃষকের সাথে ধান কাটায় অংশ নিচ্ছে;
* আগামী ৩০/০৪/২০২০ তারিখের মধ্যে নিচু হাওরাঞ্চলের ধান কর্তন সম্পন্ন এবং আগামী ০৭/০৫/২০২০ তারিখের মধ্যে সকল হাওরাঞ্চলের ধান কর্তনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে;
* যদিও আউশ একটি বৃষ্টি নির্ভর ফসল তথাপি আউশ মৌসুমে কোনো কোনো এলাকায় বীজতলা তৈরি এবং চারা রোপণের প্রাথমিক অবস্থায় সেচ প্রয়োজন হয়। এই প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে বিএডিসি কর্তৃক সেচ মাশুল ৫০% কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পরবর্তী বোরো মৌসুমেও অব্যাহত থাকবে;
* সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময়েও জরুরি পণ্য বিবেচনায় সার, বালাইনাশক, বীজ, সেচযন্ত্রসহ সকল কৃষিযন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার প্রভৃতি), খুচরা যন্ত্রাংশ, সেচযন্ত্রসহ কৃষিযন্ত্রে ব্যবহৃত জ্বালানি/ডিজেল, কৃষিপণ্য আমদানি, বন্দরে খালাসকরণ, দেশের অভ্যন্তরে সর্বত্র নির্বিঘœ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় অব্যাহত রাখা হয়েছে;
* করোনা ছুটিকালীন সময়ে সকল কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি চলাচল এবং এসব কাজে নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিদের চলাচল নির্বিঘœকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
* দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রদত্ত সহায়তার সাথে নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রদত্ত সহায়তার সাথে ত্রাণসামগ্রীতে আলু, সবজি, পেঁয়াজ ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অনুরূপভাবে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরণযোগ্য ত্রাণসামগ্রীতে আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য অন্তর্ভুক্তকরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে;
* কৃষকের উৎপাদিত সবজি ও ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষিপণ্যের ভ্রাম্যমাণ বাজার পরিচালনা শুরু করেছে;
* বর্তমান বাজেটে কৃষকদের স্বার্থে সারসহ সেচকাজে বিদ্যুৎ বিলের রিবেট বাবদ কৃষিখাতে ৯০০০ কোটি টাকার ভর্তুকি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে;
* ডিএপি সারের মূল্য প্রতি কেজি ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকায় নির্ধারণ;
* বর্তমান বাজেটে বরাদ্দকৃত কৃষিতে পুনর্বাসন ও প্রণোদনা বাবদ ১২০ কোটি টাকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতিপূরণ ও সমবায়ভিত্তিক (মন্ত্রণালয়ে) চাষাবাদের জন্য ৫০ কোটি টাকা এবং ফসলে নতুন জাত ও প্রযুক্তি স¤প্রসারণের জন্য প্রদর্শনী স্থাপন ও গ্রহণকরণ বাবদ ৭৫ কোটি টাকার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে;
* বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে খাদ্য বিভাগ কর্তৃক ধান/চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রকৃত কৃষকের তালিকা তৈরিকরণ এবং কৃষকের সুবিধার্থে ইউনিয়ন পর্যায়ে ময়েশ্চার মিটার (ধানের আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র) বরাদ্দ প্রদান;
* আগামী খরিপ-২ এ রবি মৌসুমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনামতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উৎপাদন বৃদ্ধির আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে;
* করোনাকালীন সাধারণ ছুটির সময় কৃষি কার্যক্রম সক্রিয় রাখতে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থেকে কৃষকের সাথে মাঠ পর্যায়ে অবস্থান নিশ্চিতকরণ;
* কৃষকের সাথে থাকুন, কৃষকের পাশে থাকুন।